দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার ও শিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে স্কুলের জমি কতিপয় পরিবারের মাঝের ছেড়ে দেওয়ার ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) সাড়ে ৩ টায় সময় শিবনগর এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে এলাকাবাসীর ব্যানারে এক বিক্ষোভ মিছিল পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুর রহমান ও ৭ নং শিবনগর ইউনিয়নের প্রধান শিক্ষিকা মোছা: কাওছার জাহান কাকলির পদত্যাগ চেয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
শিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ দানকৃত জমি আছে। ১০০ শতাংশ জমি স্কুল সিমানা প্রাচীর এর মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগে গোটা স্কুল সিমানা, সিমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সিমানা প্রাচীরের মধ্যে স্কুলের দানকৃত ১০০ শতাংশ জমি নাই।
সিমানা প্রাচীর করার সময় অত্রবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুর রহমানের যোগসাজসে স্কুলের পাশ্ববর্তী কতিপয় পরিবারের নিকট হতে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ৫ শতক হইতে ৮ শতক এর মতো জমি ছেড়ে দিয়ে স্কুলের সিমান প্রাচীর নির্মান করা হয়।
আমরা এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মোছা: কাওছার জাহান কাকলি ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার কোনো প্রকার কর্ণপাত না করিয়া সিমানা প্রাচীর করার অনুমতি প্রদান করে।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে স্কুল উন্নয়নের জন্য অনেক ধরনের অনুদান আসে কিন্তু সেই অনুদানের অর্থগুলো উন্নয়নের কাজে ব্যবহার না করে শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাগণ ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. কাওছার জাহান কাকলির ভাগবাটোয়ারা করে লোপাট করে। বর্তমান ফুলবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুর রহমানের ৭ নং শিবনগর ইউনিয়নে শশুরবাড়ী উনি বিগত ৮ বছর যাবত অত্রউপজেলায় সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে চাকরিরত আছেন। দীর্ঘদিন অত্র উপজেলায় চাকরিরত থাকায় ও অত্র উপজেলা শশুরবাড়ী ও আওয়ামীমনা হওয়ায় নিরভয়ে একের পরে এক অনিয়ম দূর্নীতি কার্যকলাপের সাথে লিপ্ত হন।
শিবনগর এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ পদত্যাগ ও ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।